বৈচিত্র্যময় জীবনে ধাপে ধাপে বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার সঞ্চার ঘটে । ছাত্রজীবন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ছাত্রজীবন শেষে যখন পেশাজীবনে প্রবেশ করি, সেখানকার পরিবেশ ভিন্ন। সেখানে যা কাজ দেওয়া হবে, তা কিন্তু ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্টের মত নয়। ভুল করলে গ্রেড কম আসবে এমন নয় । পেশাজীবনের সমীকরণ এত ‘সহজ’ নয়। তবু ছাত্রজীবনে কিছু অভিজ্ঞতা ঝুলিতে যোগ হলে পেশাজীবনটা সহজ হতে পারে। এমন কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছি ছাত্রজীবনে যা অর্জন করা অত্যাবশ্যক ।
মানুষের সাথে মিশতে পারার ক্ষমতা
মানুষের সাথে মিশতে পারার ক্ষমতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখানে যাচাই-বাঁছাই করেই মিশতে হবে। এমন মানুষের সাথে মেশা উচিত হবে না যার থেকে আমি কোনো বদ অভ্যাসে অভ্যস্ত হতে পারি। ভালো, শিক্ষিত, স্কিলড মানুষের সাথে মিশতে পারার ক্ষমতা থাকতে হবে। নতুন কলেজ কিংবা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই না, এর বাইরের মানুষের সাথেও মেশা উচিত, পরিচিত হওয়া উচিত। তবে মনে রাখতে হবে, নিজেকে হাসি তামাশার পাত্র বানানো যাবে না কিংবা সোজা বাংলায় যাকে ‘পা চাটা’ বলে সেটাও না। নিজের স্কিল, নিজের প্রতিভা দিয়েই মানুষের সাথে মিশতে হবে। তৈলাক্ত কথাবার্তা দিয়ে নয়।
ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবং সমস্যার সমাধান করতে পারা
বর্তমান পৃথিবীতে সাফল্য পেতে, অনেক সময় শুধু টিকে থাকতেই ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের প্রয়োজন হয়। শিক্ষাজীবনে তো ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবং প্রবলেম সলভিং স্কিল দুটি থাকাই চাই। সমস্যার সমাধান করতে না পারলে বইয়ে লেখা পাঠ চুকিয়ে ভালো ফলাফল করেও তেমন কোনো লাভ হয় না। সমস্যার সমাধান করার মতো চিন্তা করতে পারা, ইনোভেটিভ কোনো কিছু খুঁজে বের করতে পারার ক্ষমতা বর্তমান পৃথিবীর সবথেকে প্রয়োজনীয় স্কিল গুলোর একটি।
মানুষ যখন তখন ভাড়ার গাড়ি নির্দিষ্ট ভাড়ায় পায় না- এর সমাধান দিতে গিয়েই উবার, পাঠাওয়ের আগমণ। মানুষ সাজানো অবস্থায় যেকোনো তথ্য সহজে খুঁজে পায় না। এর সমাধান দিতে গিয়েই গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনের আগমণ। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে পড়াশুনার জন্য ভালো রিসোর্স পায় না- এর সমাধান দিতে এসেই খান অ্যাকাডেমি, খান অ্যাকাডেমির আইডিয়া থেকেই টেন মিনিট স্কুলের আগমণ, বাইজুসের মতো ইজুটেক প্রতিষ্ঠানের আগমণ। ঘরে বসে খাবার খেতে ইচ্ছে করলে কী করব? ফুডপান্ডারা সেখান থেকেই এসেছে। ঘরে বসে পণ্য কেনার চাহিদা থেকেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এসেছে। সমস্যার সমাধান দিতে এসেই বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর হাতেখড়ি। সমস্যার সমাধান করতে পারার শুরুটা স্কুল লেভেলেই শুরু করে দিতে হবে বড়সড় রকমের।
গবেষণা
শুরুতেই বলব গবেষণার কথা। গবেষণার কিছু অভিজ্ঞতা থাকা এখন বেশ জরুরি হয়ে পড়েছে। খণ্ডকালীন বাজার গবেষণা (মার্কেট রিসার্চ) কিংবা কোনো শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া—যেকোনো অভিজ্ঞতাই খুব কাজের। এটি যেমন ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার পথ সহজ করবে, তেমনি চাকরিজীবনেও আপনার প্রতি বসের সুনজর থাকবে নিশ্চিত। এমনকি আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান, সে ক্ষেত্রেও গবেষণার অভিজ্ঞতা আপনাকে এগিয়ে রাখবে। গবেষণার জন্য বেশ কিছু সংগঠন কাজ করে, তাদের সঙ্গে খণ্ডকালীন গবেষক হিসেবে যোগ দিতে পারেন। অথবা আপনার শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পারেন, গবেষণার কোনো সুযোগ আছে কি না। ক্লাসে যেসব অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়, সেগুলোর অংশ হিসেবেও গবেষণা করে অ্যাসাইনমেন্টকে মৌলিক করে তুলতে পারেন। ‘কপি পেস্ট’ করে হয়তো সময় বাঁচাবেন, কিন্তু ছোট এ গবেষণা আপনাকে যে আনন্দ দেবে, তার কিন্তু কোনো তুলনা হয় না। গবেষণা মানেই কিন্তু গুরুগম্ভীর কোনো কাজ নয়, হতে পারে সেটা তথ্য সংগ্রহ কিংবা ডেটা এন্ট্রি। এসব কাজে যুক্ত থেকে হাতখরচের টাকাও জোগাড় করা যায়।
লেখালেখির অভ্যাস
দ্বিতীয়ত বলব লেখালেখির অভিজ্ঞতা। লেখালেখি যোগাযোগের বড় এক মাধ্যম। তাই ছাত্রজীবনেই লেখালেখির অভ্যাস করা ভালো। বাংলা বা ইংরেজিতে, যেকোনো ভাষায় ভালো লেখার দক্ষতা আপনাকে এগিয়ে রাখবে। পত্রিকাগুলোতে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে লেখা আহ্বান করা হয়। সেখানে লেখা প্রকাশের চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অথবা শুধু পত্রিকায় কেন? লেখালেখির অভ্যাস কিন্তু নিজের ফেসবুক পোস্ট দিয়েও শুরু করতে পারেন। কোথাও বেড়াতে গেলে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা লিখুন কিংবা নতুন কোনো পণ্যের রিভিউ লিখুন। স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বার্ষিক সাময়িকী বের হয়, সেখানেও লেখা দিতে পারেন। লেখালেখির অভিজ্ঞতাও আপনাকে শিক্ষাজীবন ও পেশাজীবনে সহায়তা করবে।
ক্লাসের প্রেজেন্টেশনগুলোকে স্রেফ আরও একটা অ্যাসাইনমেন্ট না ভেবে কথা বলার একটু সুযোগ ভাবলে ক্ষতি কী? সুন্দর বাচনভঙ্গি, শব্দচয়ন, মোদ্দা কথা, স্বল্প সময়ে যেকোনো ব্যাপার সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারা যে কত বড় গুণ—তা যত দ্রুত বুঝবেন, ততই ভালো
কথা বলার দক্ষতা
যোগাযোগের আরেকটি বড় অংশ হলো মৌখিক প্রেজেন্টেশন বা বক্তব্য উপস্থাপন। ক্লাসের প্রেজেন্টেশনগুলোকে স্রেফ আরও একটা অ্যাসাইনমেন্ট না ভেবে কথা বলার একটু সুযোগ ভাবলে ক্ষতি কী? সুন্দর বাচনভঙ্গি, শব্দচয়ন, মোদ্দা কথা, স্বল্প সময়ে যেকোনো ব্যাপার সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারা যে কত বড় গুণ—তা যত দ্রুত বুঝবেন, ততই ভালো। ছাত্রজীবনে বিভিন্ন ‘প্রেজেন্টেশন কম্পিটিশন’–এ অংশগ্রহণ করুন। বিতর্কে আপনার দক্ষতা থাক বা না থাক, দর্শক হয়েও দেখুন। যুক্তির উপস্থাপনে যে একই কথাকে কতভাবে বলা যায়, তা জানতে পারবেন। এ ছাড়া ‘উপস্থিত বক্তৃতা’ কিংবা ‘নির্বাচিত বক্তৃতা’ প্রতিযোগিতা কিন্তু স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন হয়েই থাকে। ভয় ভেঙে অংশগ্রহণ করুন। আখেরে আপনার লাভই হবে।
দলে কাজের অভিজ্ঞতা
‘টিম ম্যানেজমেন্ট’ বা দল ব্যবস্থাপনা আরেকটি বড় অভিজ্ঞতা, যা ছাত্রজীবনেই আপনি চর্চা করতে পারেন। হ্যাঁ, হতে পারে আপনি একা কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কিন্তু দলের কাজ করার অভিজ্ঞতা আপনার ঝুলিতে জমা থাকলে ক্ষতি কী? বলতে পারেন, এটা আবার অভিজ্ঞতার কী? দলে কাজ করা আর দল ব্যবস্থাপনা—দুটি কিন্তু একেবারেই আলাদা। দলে আপনার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপন করা, দলের সদস্যদের দ্বারা কাজ করিয়ে নেওয়া, দলে বিবাদ মেটানো, এসব কিন্তু সময়ের সঙ্গেই শেখা হয়। তাই চাকরিজীবনে গেলে দেখা যাক কী হয়—এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। ছাত্রজীবনেই দলে কাজ করা আর দল ব্যবস্থাপনার চর্চা শুরু করুন। ছোট দলের সঙ্গে কাজ করতে না পারলে বড় দলে কীভাবে মানিয়ে নেবেন? ক্লাসে অ্যাসাইনমেন্টে একেকবার একেকজন দলীয় নেতার ভূমিকা রেখে এ অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। তা ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকলেও এ অভিজ্ঞতা সহজেই ঝুলিতে যোগ করা সম্ভব।
কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন
নতুন কোনো সফটওয়্যার, সেটা গবেষণাভিত্তিক হোক কিংবা সৃজনশীল কিছু, এ অভিজ্ঞতা খুবই কার্যকর । নকশা করার জন্য, ফটোশপ, ক্যানভা, রিসার্চের জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল, এসপিএসএস কিংবা এন্ডনোট অথবা ফেসবুকের পেজ চালানোর দক্ষতাও কিন্তু কাজে দেবে ভবিষ্যতে। এখন তো বেশির ভাগ সফটওয়্যারের ফ্রি ভার্সন থাকে, তাই অজুহাত দেখানোর কোনো অবকাশ নেই। আর সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে পারলে তো আরও ভালো। ছাত্রজীবন হেসেখেলে যেমন পার করা যায়, তেমনি ফাঁকে ফাঁকে এ ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো জুড়ে নিলে মন্দ কী? তাতে আশা করি ছাত্রজীবনের রোমাঞ্চ কমবে না, বরং বাড়বে।
তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা
একবিংশ শতাব্দীতে তথ্য হলো সব থেকে বড় সম্পদ। আমরা এমন কথা শুনে থাকবো যে আমাদের সম্পর্কে আমাদের নিজেদের থেকেও গুগল বেশি জানে। একটু চিন্তা করে দেখা যাক। আমাদের যেকোনো কিছু মাথায় আসলেই আমরা হয়তো গুগলে গিয়ে সার্চ করি, আমাদের ফটোগুলো আমরা গুগল ফটোসে ব্যাকআপ রাখি, আমাদের কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে গুগল ম্যাপে তা খুঁজি। গুগল কিন্তু আমাদের সবকিছুই জেনে যাচ্ছে; গুগল এভাবেই গড়ে তুলেছে তথ্যের এক বিশাল ভাণ্ডার।
ফেসবুকের দিকে তাকানো যাক। আমরা কোন স্কুলে পড়েছি, কোন কলেজে পড়েছি, আমার ইন্টারেস্ট কিসে, আমি আজ কোথায় গেলাম (চেক-ইন), কোন ধরনের মানুষকে আমার পছন্দ (পেজ এবং প্রোফাইল ফলো), কী ধরনের খাবার আমি পছন্দ করি (খাবার খেতে গিয়ে আমাদের তোলা সেলফি যা আমরা ফেসবুকে আপলোড করি), আমি কবে বিয়ে করতে যাচ্ছি, কাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি, যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি তার কোন বিষয়গুলোতে আগ্রহ- এসবই কিন্তু ফেসবুক জেনে যাচ্ছে।
এতে তাদের লাভ কী? ফেসবুক আপনাকে ওই বিষয়ের উপরেই বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যাবে। আপনার তথ্য তার অ্যানালাইজ করে বিশাল অংকের টাকা আয় করবে। তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা এখনকার পৃথিবীতে খুব বড় একটি সম্পদ। তাইতো দিনে দিনে ডেটা সায়েন্টিস্টদের সংখ্যা এবং চাহিদা বাড়ছেই।
পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারা
যেকোনো সময়ই যেকোনো কিছু পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। এর একটি বড় উদাহারণটি আমরা পেয়েছি এই মহামারীর সময়। হঠাৎ করেই পুরো পৃথিবীকে এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা কেউ কোনোদিন হয়তো কল্পনাও করেনি। তবে এর সাথেও কিন্তু মানিয়ে নিতে হয়েছে। মানিয়ে নিতে হবে, যারা মানিয়ে নিতে পারেনি তারা অনেক বেশি পিছিয়ে পরেছে। এটা তো অনেক বড় পরিবর্তন। খুব ছোট ছোট অনেক পরিবর্তনও আসবে আমাদের জীবনে। সেসবের সাথেও মানিয়ে নিতে হবে আমাদের। এটা লাগবেই।
পারসোনাল ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট
একজন শিক্ষার্থী নিজে টাকা আয় করুক কিংবা পরিবার থেকে তার খরচের টাকা নিক; যেটিই হোক না কেন বুঝে শুনে ব্যয় করতে পারার আর্টটা আয়ত্ব করতে হবে। যেখানে খরচ করা প্রয়োজন, যেখানে খরচ করলে প্রতক্ষভাবে কোনো লাভ হোক বা না হোক, পরোক্ষভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে, সেখানে খরচ করতে হবে। আবার অপ্রয়োজনে অনেক বেশি খরচ করার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। ছাত্রজীবনে যেসকল ছাত্র নিজেই নিজের টাকা আয় করতে শুরু করে, তখন অনেকেই অনেক অপ্রয়োজনীয় খরচ করে থাকে। এই বদঅভ্যাস বাদ দিতে হবে। কীভাবে কোথায় টাকা খরচ করবে তার পরিকল্পনা করতে হবে।
টাইম ম্যানেজমেন্ট
শুধু ছাত্রজীবন না, সারাজীবনই এর প্রয়োজন অনেক বেশি। এর অনুশীলনের শুরুটাও ছাত্রজীবন থেকেই হওয়া উচিত। আমরা অনেকেই আছি যারা বিভিন্ন পরিকল্পনা করি সময় কীভাবে কাটাবো তা নিয়ে, অনেকেই ডেইলি রুটিন, মান্থলি টু ডু কিংবা ইয়ারলি রেজুলুশন তৈরি করি, কিন্তু মেনে চলতে পারি না। এই মেনে চলতে না পারার অভ্যাস ত্যাগ করাটা অনেক বেশি জরুরি।
ভালো ইংরেজি বলতে পারা
ইংরেজি ভালোভাবে বলতে পারাটা এসময়ের পৃথিবীতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশ বিদেশের অনেকের সাথেই আমাদের যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজন হয়। এবং সেখানে আমাদেরকে ইংরেজি ভাষাই ব্যবহার করতে হয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়া ইংরেজিতে হয়, দেশের বাইরে থেকে অনলাইন কোনো কোর্স করতে গেলেও ইংরেজিতে করতে হয়, দেশের বাইরে জব করতে গেলে ইংরেজি খুব ভালোভাবে জানতে হয়, দেশের ভেতর থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে বিদেশী বায়ারদের সাথে ভালো ইংরেজিতে কথা বলতে হয়। তাই এখন থেকেই ভালো ইংরেজি জানার শুরুটা করতে হবে। পাশাপাশি IELTS, GRE এর ব্যাপার তো আছেই।
স্লাইড তৈরি
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে জব লাইফে স্লাইড তৈরির স্কিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্কিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন দেয়ার সময়, কেস কম্পিটিশন, জব লাইফের প্রেজেন্টেশন, ছাত্রদের মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে পড়ানো- সব জায়গাতেই স্লাইড তৈরি করতে হয়। প্রফেশনাল স্লাইড তৈরি করতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিল। পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করা শিখতে হবে এজন্য সবাইকেই। পাওয়ারপয়েন্ট ছাড়াও স্লাইড বানানো যায়, ক্যানভার মতো অনলাইন এডিটরও ব্যবহার করা যায়- তবে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট শেখাটাই বেশি কাজে দেবে।
গ্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষতা
গ্রোগ্রামিং ভাষা যেমন পাইথন, জাভা,জাভা স্ক্রিপ্ট, সি , সি প্লাস প্লাস,পিএইচপে প্রভৃতি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে পেশাগত জীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে । একজন ডেভেলপার হিসেবে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানীতে কাজ করার বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে ।
উপরের দক্ষতাগুলো ছাত্রজীবনে অর্জন করতে পারলে জীবনে আর কখনো ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হবেনা । আগামী বিশ্বের শ্রম বাজারে আপনি থাকবেন বহুগুণ এগিয়ে । লার্নটাইম আপনার দক্ষতা অর্জনের পথকে সুগম করতে পারে ।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো